রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় [ভার্চুয়াল] এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্টে মিয়ানামারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংহিসতা ও সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ের আশ্রয় নিয়েছিল আরও অন্তত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা।
বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের অনেকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জন্ম সনদ সংগ্রহ করার ঘটনা ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে জন্ম সনদ নিয়ে পাসপোর্ট করা এবং বিদেশে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
জেলা প্রশাসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্ধ থাকা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান চালু করার ব্যাপারে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
“কোনো ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন পেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স তা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ নিবন্ধন করবে।”
এতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠী যাতে অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে নিবন্ধন করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
“পাসপোর্ট অধিদপ্তরকেও যাচাই-বাছাই করে প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া ও টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ আর পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”
এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের জন্ম নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট সেবায় বাধা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেন কামাল হোসেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এই ভার্চুয়াল সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যগণসহ জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও খবর -