যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে: বগুড়ায় সিইসি

আসন্ন উপ-নির্বাচন যেকোনো পরিস্থিতিতেই নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2020, 08:13 PM
Updated : 11 July 2020, 08:13 PM

শনিবার বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা জানান।

আগামী মঙ্গলবার [১৪ জুলাই] বগুড়া-১ আসনের [সোনাতলা-সারিয়াকান্দি] উপ-নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

একই দিন যশোর-৬ [কেশবপুর] আসনেরও উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত আছে।

নুরুল হুদা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। যুদ্ধ, ঝড়, ভূমিকম্প হোক নির্বাচন করতে হবে। এটি সংবিধানের বিষয়। সংবিধান পরিপন্থি কোনো কিছু করা যাবে না। তাই নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

“উপ-নির্বাচন অংশকারী দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন; যদি কেউ অংশ না নেন তবে তা নির্বাচন কমিশনের দায় নয়।”

তিনি বলেন, যেসব ভোট কেন্দ্র বন্যা কবলিত সেসব কেন্দ্রের ভোট বিকল্প কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিকল্প কেন্দ্রগুলোর পরিচিতি করতে ভোটারদের মাঝে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বৃষ্টি-বাদল, “করোনাভাইরাস মাথায় নিয়ে ভোট করতে হচ্ছে। বগুড়া-১ আসনে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাঠ পর্যায়ে ভোট গ্রহণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো কিছু হোক না কেন সংবিধানের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করবে।”

ভোট গ্রহণে মাঠে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবনে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অংশ নেন।

সবশেষে তিনি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে উপ-নির্বচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী,  নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, ডিজিএফআই-এর জেনারেল স্টাফ কর্নেল নাজিম উদ্দিন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা প্রমুখ।

গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৯১৮ জন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।