১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে এ পথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পথটি নতুন করে খুলতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি হয়ে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল সংযোগের লক্ষ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ স্থাপনের কাজ চলছে।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে সংযোগ স্থাপনের কাজটি শুরু হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকায় হোঁচট খায় লক্ষ্যমাত্রা।
এ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, “গেল জুন মাসের মধ্যে ওই নির্মাণ কাজ সমাপ্তের কথা ছিল কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে কাজ বন্ধ থাকে।
“এখন কাজ শুরু হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে।”
১৯৬৫ সালের আগে ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সচল ছিল। ওই রেলপথে দার্জিলিং থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একাধিক ট্রেনের চলাচল করত। ’৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়। ওই বন্ধ থাকা রেলপথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার রেলপথ এবং ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার ‘লুপ লাইন’ স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
ভারত তাদের অংশে হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষে ৫৫ বছর পর এপথে পুনরায় চলবে ট্রেন।