ফতুল্লায় স্ত্রী-ছেলেকে ‘হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা’

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক রিকশা চালকের বিরুদ্ধে, যিনি পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2020, 05:51 PM
Updated : 8 July 2020, 05:51 PM

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ওই এলাকার হারেস মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৫)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায়।

আহত হারেস মিয়াকে (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রিকশা চালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল এলাকায় শাহ্ আলমের টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টসে এবং ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।  তাদের ১২ বছর বয়সী মেয়ে বীথি আক্তার স্থানীয় ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

ওসি আসলাম হোসেন বলেন, তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়।

“ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়া ধারালো ছোরা নিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন। এ সময় মাকে বাঁচাতে সোহাগ এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করেন। পরে হারেস নিজে তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন।”

ওসি জানান, আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ছেলে সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, সেখান থেকে মনোয়ারা বেগম ও হারেস মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বুধবার ৫টার দিকে মনোয়ারা বেগম মারা যান।

রিকশা চালক হারেস মিয়া নেশাগ্রস্ত ছিলেন ধারণা করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।