এই দাবিতে বুধবার সকালে বেনাপোল বাজারে অবস্থান ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন শার্শা উপজেলা শাখা।
অ্যাসোসিয়েশন শার্শা শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, শার্শা উপজেলার ৫০টি কিন্ডারগার্টেনে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
“লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকায় শার্শার অর্ধশত কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।”
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশে শিশুদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এসব কিন্ডারগর্টেনের শিক্ষকদেরও বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সানরাইজ কিন্ডারগার্টেনের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি
"অনেক শিক্ষক প্রাইভেট ছাত্র পড়িয়ে কিছু বাড়তি আয় করতেন; হঠাৎ করোনার কারণে সেটাও বন্ধ। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।"
শেখ সাদেক কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আলফিকার রহমান বলেন, শার্শা উপজেলায় ৫০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নাম মাত্র বেতনে চাকরি করেন প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক।
"প্রতিষ্ঠানের শিশু-শিক্ষার্থীদের বেতন ও কোচিং ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন শিক্ষকদের বেতন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি এমন না পারি সইতে-না পারি কইতে।"
শার্শা উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা লেখাপড়া শিখে নাম মাত্র বেতনে কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাকতা করি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনে। এখানে চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। ইচ্ছে করলেই কর্তৃপক্ষ বাদ দিতে পারে। এমতাবস্থায় আমরা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের কাছে বেতন-ভাতা চাইলে চাকরি হারানোর ভয় রয়েছে।”
উলাশী কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান আব্দুল্লাহ বলেন, “কিন্ডারগার্টেগুলো প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিভাবে বই ছাড়া অন্য কোনো সহায়তা পায় না। প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের এনে তাদের পরিবার বাঁচানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।”