বুধবার থেকে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত পৌর এলাকায় এই অবরুদ্ধ অবস্থা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র।
গত সোমবার নড়াইল জেলা ও লোহাগড়া প্রশাসনের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি লোহাগড়া পৌর এলাকাকে অবরুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
মাশরাফি নিজেসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় লোহাগড়া উপজেলায় শনাক্ত ১৫ জনের ১২ জনই লোহাগড়া পৌরসভার বাসিন্দা।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় লোহাগড়া পৌরসভার এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
“এটি বাস্তবায়নের জন্য পৌরসভার ১৩টি প্রবেশ পথে কড়া চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ সময় ওষুধ ও সার-কীটনাশক দোকান ছাড়া অন্যসব দোকানপাট, হাটবাজার বন্ধ থাকবে।”
লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার (৬ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হয়ে লোহাগড়া পৌর এলাকাকে অবরুদ্ধ করার আহবান জানান। আলোচনা সভায় সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নড়াইলের সিভিল সার্জন আবদুল মোমেন জানান, নড়াইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ২১ জন পুলিশ সদস্য ও ১০ জন চিকিৎসকসহ সর্বমোট ৩২৩ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ চিকিৎসকসহ ১১৮ জন সুস্থ হয়েছেন এবং সাত জন মারা গেছেন।