উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দিদার সরকারের মুদি দোকান, রুবেল মিয়ার চায়ের দোকান, সুমন মিয়ার চায়ের দোকান, জাহাঙ্গীর হোসেনের ফলের দোকান, আক্তার হোসেনের চায়ের দোকান, আরিফ ও রাজ্জাক মিজির মরিচের গুদাম মালামালসহ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।
ভাঙনের মুখে থাকা আরও ৮-১০টি দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
স্থানীয় দোকানদার সম্রাট মিয়ার জানান, গত ২৯ জুন দুপুরে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের পুব পাশে আকস্মিকভাবে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। ওই সময় পাঁচটি দোকান মালামালসহ নদীতে ডুবে যায়। পরদিন থেকেই জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়। এখনও তা চলমান রয়েছে। কিন্তু সোমবার রাত ২টার দিকে আবার হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়।
স্থানীয় হাবিব মাঝি ও আমানউল্যাহ মিয়া বলেন, গত বছর জিও ব্যাগ ডাম্পিং করায় ভাঙন বন্ধ ছিল। এ বছর নদীতে প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের কারণে গত এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারের দুইটি স্থান ব্যাপকভাবে ভেঙেছে। ফলে অনেকের দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর নির্দেশে ভাঙন কবলিতদের তালিকা করে তাদের প্রত্যেককে দুই বান্ডেল করে টিন ও ছয় হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেখানে জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।