এন্ড্রুর বাবা ক্ষিতিশ বাড়ৈ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন। তবে চিকিৎসা পেশার সুবাদে রাজশাহীতে স্থায়ী হন তিনি। সেখানেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এন্ড্রু কিশোরের। সেই রাজশাহীতেই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের এ বরেণ্য শিল্পী।
তবে পৈত্রিক বাড়িতে তার স্বজনরা রয়েছেন। দুই বছর আগে বাবার জন্মভূমি দেখতেও গিয়েছিলন এন্ড্রু কিশোর। আর তখনই এখানে ‘একটি উপাসনালয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।’
পূর্ণদান বাড়ৈ জানান, ক্ষিতিশ বাড়ৈয়ের তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে এন্ড্রু কিশোর ছিলেন সবার ছোট। তার বড়ো ভাই স্বপন বাড়ৈ এবং বোন শিখা বাড়ৈ।
“আমার কাকা ডা. ক্ষিতিশ বাড়ৈয়ের কর্মস্থল ছিল রাজশাহী। এন্ড্রু কিশোর রাজশাহীতেই জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার বাবার জন্ম চিথলিয়া গ্রামে।”
এন্ড্রু কিশোরের আরেক কাকাত ভাই এলিও বাড়ৈ বলেন, “সাত মাস আগে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। আমার এক কাকার মৃত্যুতে অনুষ্ঠান করার জন্য তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আমাদের যেকোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি সহযোগিতা করতেন। বিভিন্ন সময়ে ফোন করে আমাদের খোঁজখবর নিতেন।”
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী বলেন, কোটালীপাড়ায় এ মহান শিল্পীর পৈত্রিক ভিটা রয়েছে। সেখানে তিনি ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন। সেটি করা হলে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, “কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী এন্ডু কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”
এই শিল্পীর স্মৃতি রক্ষায় কোটালীপাড়ায় একটি সংগীত একাডেমি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।