নীলফামারীতে ‘স্বাস্থ্যসম্মত’ কোরবানির হাট বসাল সেনাবাহিনী

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নীলফামারীতে ‘স্বাস্থ্যসম্মত‘ কোরবানির পশুর হাট বসিয়েছে সেনাবাহিনী।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2020, 03:13 PM
Updated : 7 July 2020, 03:13 PM

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঢেলাপীর হাটে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের আর্টিলারি ব্রিগেডের ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারী তত্ত্বাবধায়নে এ পশুর হাট বসে।

১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট রেজিমেন্ট আর্টিলারির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফ হোসেন বলেন, “আসন্ন কোরবানির হাটে যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেশি না হয়, এই হাটের মাধ্যমে যেন কমিউনিটিতে স্প্রেডিং না হয় [না ছড়ায়] এজন্য হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতার শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করেছি।

“এখানে সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার পশু কেনাবেচা হবে।”

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুঠি গ্রামের আবুল হোসেন (৫০) বলেন,“মহামারি করোনা দুর্যোগে হাটে গরু নিয়ে আসার সময় দুশ্চিন্তায় ছিলাম-কি ভাবে মানুষের ভিড় এড়াব, নিজেকে রক্ষা করব এ নিয়ে। তবে সেই চিন্তার অবসান ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী।”

তিনি বলেন, হাটের প্রবেশ পথে এসে দেখি; সেনা সদস্যরা ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নিশ্চিত করছেন। বিক্রেতা-ক্রেতা সবাইকে স্প্রে মেশিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করছেন। হাত ধোয়ানোর পর মেশিন দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপছেন। প্রত্যেকের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছেন।

“প্রতিটি মানুষকে সেনাবাহিনীর নির্দেশনা এমনভাবে মেনে হাটে প্রবেশ করালে হাটে কোনো করোনার ঝুঁকি থাকবে না।”

গরু কিনতে আসেন ইউনুস আলী (৪২)। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী কোরবানির পশুর হাটে শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করেছে। তাদের এমন উদ্যোগের কারণে নির্ভয়ে গরু কিনতে পেরেছি। তাদের এমন ব্যবস্থাপনায় আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় খুশি।”

এ হাটে সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রেখে ক্রেতা ও বিক্রেতার শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেন সেনা সদস্যরা। পুরো হাটকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করে পুলিশ বাহিনী ও স্বেচ্ছা সেবকরা।