মঙ্গলবার সকাল ৯টায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রয়াত জেসমিন আক্তার প্রিয়া (১৮) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছোট সাতাইল বাতাইল গ্রামের মমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়ার নুর আলমের মেয়ে।
জেসমিনের মা মরিয়ম বেগমের অভিযোগ, তার মেয়েকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, প্রিয়াকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। তাই তার লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
“ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক রেজাউল করিম জানান, গত ২০ জুন জেসমিন করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম ভর্তি হন। তার পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এক পর্যায়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
“গত সোমবার দুপুরে জেসমিন জ্বর ও সর্দি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়।”
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মজিদুল ইসলাম বলেন, জেসমিন আক্তার প্রিয়ার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি। তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।