মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর এলাকায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে পাবনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান জানান।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হারান শেখের ছেলে জুয়েল (৩০), নজু মিয়ার ছেলে জাকির (২৫), জলিল মিয়ার ছেলে শরিফুল (৩১) ও রঞ্জিতের ছেলে জুবা (৩২)।
চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকা থেকে ১৩ জন কৃষিশ্রমিক ট্রলারে করে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যাচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর হঠাৎ ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চারজন তলিয়ে যায়।
প্রথমে সহযাত্রীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। পরে পাবনা ও কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসে উদ্ধারকর্মীরা চেষ্টা করে। শেষে রাজশাহী বিভাগীয় ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।
পাবনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে প্রবল স্রোত থাকায় ছোট ডিঙ্গিনৌকাটি উল্টে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
“যে পরিস্থিতি দেখছি তাতে ঘটনাস্থলের আশপাশে নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া উদ্ধারকাজের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।”
ট্রলার ডুবির পর সাঁতরে বেঁচে ফেরা কৃষিশ্রমিক হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে তারা পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যান। মঙ্গলবার সকালেও দুটি নৌকায় রওনা হন।
“সাদীপুর এলাকায় মাঝ নদীতে হঠাৎ ট্রলারে পানি উঠতে শুরু করলে চোখের পলকে ডুবে যায়। আমরা কয়েকজন কোনোমতে সাঁতরে পারে উঠেছি। কিন্তু আমার চাচাত ভাই জুয়েলসহ চারজনের খোঁজ পাচ্ছি না।”