পাবনায় অন্তর হত্যার আসামি সরকারি কর্মচারী, বাদীকে হুমকির অভিযোগ

পাবনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অন্তর হত্যা মামলার সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা বাদীকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2020, 03:48 PM
Updated : 6 July 2020, 03:48 PM

সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন অন্তরের বাবা জালাল হোসেন ও মা মনজিলা খাতুন।

গত পহেলা জুন জেলার সাঁথিয়া উপজেলা গাংগুহাটি মোল্লাপাড়া গ্রামে অন্তরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অন্তর ঢাকার সোনারগাঁ ইউনির্ভাসিটির প্রকৌশল তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও গাংগুহাটি মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় পরদিন তার মা মনজিলা খাতুন ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন রাজ (২৮), সাইম (২৯), ফিরোজ (৩২), তোফজ্জল হোসেন ওরফে মন্টু (৬০), আব্দুর রাজ্জাক (৫২), সুমন (২৮), মিঠু (৩২), সুইট (২৭), রনি (২২) ও বেলাল (৪৮)।

সবার বাড়ি গাংগুহাটি গ্রামে। এমেদর মধ্যে তোফজ্জল হোসেন ওরফে মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে জালাল হোসেন ও মনজিলা খাতুন বলেন, এ হত্যার পর থানায় গেলে ‘প্রভাবশালী মহল’ মামলা নথিভুক্ত করতে বাধা দেয়। পরে মামলাটি নথিভুক্ত হলেও মূল আসামিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

পাবনা প্রেসক্লাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন অন্তরের বাবা জালাল হোসেন।

তিনি বলেন, “অন্তর হত্যা মামলার আসামি বাচ্চু ও সামছুল হক বাট্টু সরকারের প্রশাসনে চাকরি করেন। ওই সন্ত্রাসীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন “

এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ওসি নাছিরুল আলম বলেন, অন্তর হত্যার ঘটনায় মামলার পর এজহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অচিরেই তাদেরও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

মামলার এজহারভুক্ত সরকারি চাকরিজীবী আসামিরা অফিস করলেও কেন গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না জানতে চাইলে ওসি বলেন, “আমরা সেইসব স্থানেও অভিযান চালাচ্ছি। খুব শ্রীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে।”