দণ্ডিত শফিজের ছেলে, জেল খাটল মফিজের ছেলে

নাম ও ঠিকানায় মিল থাকায় বিনা অপরাধে চার মাস কারাবাসের পর মুক্তি পেয়েছেন এক ব্যক্তি।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2020, 03:19 PM
Updated : 6 July 2020, 03:19 PM

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান আব্দুস সালাম ঢালী নামের ওই মুদি দোকানি।

এর আগে বিকালে বাগেরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক তন্ময় গাইন ভার্চুয়াল শুনানিতে তার মুক্তির আদেশ দেন।

একই সঙ্গে কেন আব্দুস সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার কারণ দর্শাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, ২০০৫ সালে ৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মোংলা থানার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরির একটি মামলায় ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তির দুই বছরের সাজা হয়। পলাতক ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ওসি বলেন, “আসামির নাম, বাবার নাম এবং ঠিকানায় মিল থাকায় গত ১১ মার্চ খুলনা নগরীর শেখপাড়ার মফিজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে মো. আব্দুস সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রকৃত আসামি হচ্ছেন খুলনার শেখপাড়া মেইন রোডের শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবদুস সালাম।”

ওসি সাংবাদিকদের জানান, সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডল ভুল করে গ্রেপ্তার করার জন্য গত বৃহস্পতিবার বাগেরহাট জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

“গত প্রায় চার মাস ধরে সালাম ঢালী বাগেরহাট জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। আদালত ভার্চুয়াল শুনানি করে আজ তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন এবং পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডলকে নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কেন আব্দুস সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার কারণ দর্শাতে আদেশ দিয়েছে।”

বাগেরহাট কারাগারের জেলার এসএম মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, “প্রায় চার মাস কারাগারে আটক থাকা আব্দুস সালাম ঢালীর মুক্তির আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। সোমবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”

মুক্তি পেয়ে আব্দুস সালাম ঢালী বাগেরহাট কারাফটকে সাংবাদিকদের বলেন, “নাম ঠিকানায় মিল থাকায় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমি নিরাপরাধ। আমি পেশায় মুদি দোকানি। বিনা অপরাধে আমাকে চার মাস জেল খাটতে হলো।”

সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য যারা দায়ী তিনি তাদের বিচার চান এবং সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।