দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয় সোমবার এবং প্রকৌশলীর মৃত্যু হয় রোববার রাতে।
এরা হলেন ভাঙ্গা পৌরসভার প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন (৪৭), ফরিদপুর শহরের ওয়ালেস পাড়ার মুদি দোকানদার রুহুল আমিন (৫২) এবং সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুরের শিবরামপুরের বিল্লাহ হোসেন (৫৫)।
ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র এ এফ এমডি রেজা বলেন, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন কয়েকদিন থেকে জ্বর কাশিতে ভুগছিলেন। এ কারণে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, ছুটি নিয়ে তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ইসাদি গ্রামে চলে যান। পরে শরীর খারাপ হলে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে বরিশালে নিয়ে আসেন।
“রোববার গভীর রাতে বরিশালের একটি আবাসিক হোটেলে মারা যান তিনি।”
ফরিদপুর শহরের ওয়ালেস পাড়ায় মুদি দোকানদার রুহুল আমিন করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকালে নিজ বাসায় মারা যান। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়।
ওয়ালেস পাড়া মসজিদের সামনে তার মুদি দোকান রয়েছে।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আনিছুর রহমান সাবুল জানান, কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থাকতেন। তার পরিবার জানিয়েছেন রুহুল আমিরের শরীরে করোনাভাইরাস উপসর্গ ছিল।
ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, সোমবার সকালে করোনাভাইরস উপসর্গ নিয়ে ঈশান গোপালপুরের শিবরামপুর এলাকার বিল্লাহ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী মারা গেছে।
তিনি দুইদিন ধরে অসুস্থ হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য নমূনা সংগ্রহ করা করা হয়েছে।