দোহারে ‘ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ’, নারী গ্রেপ্তার

ঢাকার দোহার উপজেলায় এক কিশোরীকে ‘ধর্ষণে’ সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 05:38 PM
Updated : 5 July 2020, 05:38 PM

দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার রাতে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাবা থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রথম মামলায় একজন, দ্বিতীয় মামলায় দুইজন ও তৃতীয় মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পরপরই উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে সুমা (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।

স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর বাবা একজন রিকশা চালক। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। প্রায় চার মাস আগে স্ত্রী ও ১৩ বছর বয়সী এই মেয়েকে নিয়ে একই গ্রামের সুমাদের ভাড়া বাড়িতে আসেন তারা। এরই মধ্যে এখানে একই গ্রামের বাসিন্দা সেলিম চোকদারের মেয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে মাঝেমধ্যে রাতে তার সঙ্গে ঘুমাতে যেতেন এই কিশোরী।

ভূক্তভোগী এই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় আড়াই মাস আগে এক রাতে সেলিম চোকদারের মেয়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। ঘুমন্ত অবস্থায় সেলিম চোকদার এসে তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন সেলিম চোকদার।

এরপর সেলিম তার প্রতিবেশী কিয়ামউদ্দিন হওলাদার ও ইদ্রিস মোল্লাসহ আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন, যাতে বাড়িওয়ালার মেয়ে সুমা সহযোগিতা করেন বলে মেয়েটির অভিযোগ।

পরে এ খবর জানাজানি হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় এই লোকগুলো গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মেয়েটির বাবা ও মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা প্রথমে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেছিল। এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ‘ধর্ষকরা’ পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।