রোববার বাংলাদেশের কয়েকটি ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় বলে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ শঙ্কায় গত ২২ মার্চ দুদেশেরে মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
এর মধ্যে দুদেশের বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে আলোচনার পর গত ৮ জুন বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য আমদানি শুরু হয়; কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কার অজুহাতে ভারত সেদেশে বাংলাদেশি পণ্য ঢুকতে দিচ্ছিল না।
তিনি বলেন, প্রথম দিনে বিকাল সাড়ে ৫টায় গার্মেন্টস সামগ্রী নিয়ে পাঁচটি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। সময় স্বল্পতার কারণে এদিন বেশি ট্রাক পাঠানো যায়নি।
এর পরপরই আমদানিও শুরু হয়েছে এবং ভারত থেকে কাঁচামালের কয়েকটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে বলে তিনি জানান।
আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ২২ মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। এরপর ৮ জুন থেকে পুনরায় আমদানি শুরু হলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বন্ধ থাকে।
“বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বাধা দূরীকরণে উদ্যোগ নিতে গত ২৪ জুন আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন ভট্টাচার্য বরাবর আবেদন করি।”
এমদাদুল হক বলেন, শনিবার রাজ্য সরকারের এক জরুরি বৈঠকে রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে প্রক্রিয়ায় আমদানি হচ্ছে একই প্রক্রিয়ায় রপ্তানি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয় পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক
সাজেদুর রহমান বলেন, এর আগে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেও রপ্তানি চালু করা যায়নি। এই অবস্থায় গত বুধবার এদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের পণ্যবাহী যান এদেশে প্রবেশ ঠেকিয়ে দেন।
এরপরই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।