রোববার বিকাল ৬টায় দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব পিলারে কাছে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মাইয়ামরার ঘাট এলাকায় ধরলা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলেন বলছে তার স্বজন।
নিহত তরিপুল ইসলাম (২৮) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাড়ি গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, সীমান্ত থেকে বুড়িমারী কোম্পানি বিজিবির সহায়তায় তরিপুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
“লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
নিহতের মামাত ভাই রাবিউল ইসলাম আবু বলেন, “গত শনিবার রাতে আমরা খবর পাই তরিপুল নিখোঁজ। পরে জানতে পারি যে, আমবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গরু ব্যবসায়ী সামিনুর ইসলাম গরু পারাপারকারী তরিপুল ইসলামসহ ৬/৭ জনকে ভারত থেকে গরু আনার জন্য দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে গত বুধবার বিকালে ভারতে পাঠায়। দুই দিন ভারতের গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকে তারা।
“শুক্রবার ভোরে গরু আনার সময় তরিপুল নিখোঁজ হয়। রোববার লাশ সীমান্তের ধরলা নদী থেকে উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ।”
তরিকুল নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, ওই সীমান্তের ধরলা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম তরিপুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করে।