রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে তার লাইফ সার্পোট খুলে নিয়ে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ জানান।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
মৃত এনামুল হক বিজয় সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জামতৈল সরকারি হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা সভাপতি। তিনি কামারখন্দ উপজেলার চালা শাহবাজপুর এলাকার বাসিন্দা।
গত ২৬ জুন বিকালে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় তাকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে একদল হামলাকারী। পরদিন [২৭ জুন] তাকে ঢাকায় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এনামুলের মৃতদেহ সিরাজগঞ্জ পৌঁছার পর রোববারই তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ জানান।
এদিকে, এনামুলের মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছার পর এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও মদদদাতাদের শাস্তি হবে বলে আশা করছেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ইসহাক আলী, যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল বারী সেখ, প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী পিয়ার, যুব বিষয়ক সম্পাদক বদরুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল কায়েস তপন, উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম প্রমুখ।
সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এনামুল হক বিজয় আহত হওয়ার পর থেকেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এনামুলের উপর হামলার ঘটনায় তার বড়ো ভাই রুবেল বাদী হয়ে ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চার জন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ার ধানগড়ার শিহাব আহমেদ জিহাদকে (২৩) গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, জাহিদুল ইসলাম ও সাগর জেলহাজতে রয়েছেন। জামিনে মুক্ত রয়েছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন।
এদিকে, গত রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দুই আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।