শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি হাটের অদূরে পাঙ্গা নদীর এক সেতু পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশুরা হল, গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬) এবং জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসিপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে মনি আক্তার (৫)। তারা খালাত ভাই-বোন।
ডোমার থানার ওসি মোস্তফিজার রহমান বলেন,“ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে কাজ করছে।”
ডোমার ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা ফরহাদ হোসেন বলেন,“ব্রিজের লোহার পাতের ফাঁকে চাকা ঢুকে ভ্যান উল্টে এক নারীসহ তিন শিশু নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ওই নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করতে পারলেও দুই শিশু নিখোঁজ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের কমির উদ্দীনের জানাজায় পরিবারসহ অংশ নিতে আসেন তার ছেলের শ্বশুর জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের ময়নুল ইসলাম।
দাফন শেষে স্ত্রী, তিন নাতি-নাতনিসহ রিকশাভ্যানে করে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন ময়নুল। এ সময় আমবাড়ি হাটের অদূরে পাঙ্গা নদী পারাপারের ‘ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের’ পাটাতনের ফাঁকে রিকশাভ্যানের চাকা ঢুকে উল্টে যায়। এতে ময়নুলের স্ত্রী রওশন আরা (৫৫), তার তিন নাতি-নাতনি লিপু (১০), মনি ও মনোয়ার নদীতে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা রওশন আরা ও লিপুকে উদ্ধার করতে পারলেও অপর দুই শিশু মনি ও মনোয়ার নদীতে নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন,“স্থানীয় লোকজন ও ডোমার ফায়াস সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় রংপুরের একটি ডুবুরি দল শিশু দুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।”
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি।