পাটকল শ্রমিক ছাঁটাই সিদ্ধান্ত: প্রতিবাদ রাজশাহীতে

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের ছাঁটা্ই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2020, 04:25 PM
Updated : 1 July 2020, 04:25 PM

বুধবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখা।

‘পাটকল বন্ধ নয়-শ্রমিক ছাঁটাই নয়,’ ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পিপিপি নয়,’ ‘আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা উন্নয়ন কর,’ ‘দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ কর’ শ্লোগানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোর্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এর প্রতিবাদে খুলনার নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরাও নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের সন্তানরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, ছাত্র মৈত্রীর মহানগর সভাপতি জুয়েল খান, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ফেরদৌস জামান টুটুল, যুব মৈত্রীর সভাপতি নগর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।

সমাবেশে দেবাশীষ প্রামানিক দেবু বলেন, পাট ও পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল। গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির ফলে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে।

“অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ছে। আর এদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত পাটকলগুলো বন্ধের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”

তিনি বলেন, সরকার পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেনি। এতে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার বেকার হয়ে যাবে। শ্রমিকদের জীবন অচল করে অর্থনীতি সচল করা সম্ভব না।

জাতীয় স্বার্থবিরোধী শ্রমিক ছাঁটাই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

রাজশাহী জুট মিলসের সিবিএ সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, এই মিলে ১৭৫৭ জন শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৭০৭ জন এবং অস্থায়ী (দৈনিক মজুরির ভিত্তিক) ১০৫০ জন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাটকল বেসরকারি খাতে চলে গেলে সব শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে; কারণ যারা কারখানা লিজ নিবেন তারা তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করবেন। ফলে এই সাড়ে ১৭শ শ্রমিক কাজ হারাবেন।