জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বুবার পর্যন্ত সদর উপজেলা, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
পানি বাড়ায় ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বাঁধের ওপর আশ্রয় নিচ্ছে অনেক মানুষ। গবাদিপশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অনেক এলাকাবাসী। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়। ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ২৮০টি ঘরবাড়ির আংশিক, ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এ্ছাড়া সাড়ে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১২৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টয় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৮ এবং কাজিপুর উপজেলায় সাত সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম।