বৃষ্টি-ঢলে বন্যা: নেত্রকোণায় শতাধিক গ্রাম প্লবিত

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ১৭০০ বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।

সোমবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো আক্তারুজ্জামান জানান, ভারি বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলের কারণে সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দায় তিন নম্বর পয়েন্টে বিপদ-সীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে।

এছাড়া জেলার অন্য প্রধান নদী উব্ধাখালি,কংস, ধনু ,মগড়া নদীর পানি বাড়লেও বিপদ-সীমার নিচে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বন্যা কবলিতরা জানান, এলাকার বেশিরভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়ির বারান্দা এবং অনেকের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। রান্না করা কঠিন হয়ে গেছে। গরু ছাগল রাখা এবং খাবার নিয়ে বিপাকে থাকার কথাও জানান তারা।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানিয়েছেন, তাদের আটটি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবারের বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ১৫ একর আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মৎসচাষিদের প্রায় দুই শতাধিক পুকুর তলিয়ে মাছ বেরিয়ে গেছে।

“প্রায় ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে।”

বন্যা পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরণের প্রস্তুতি প্রশাসনের রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

এদিকে, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ জানান, তার উপজেলার ৬৫টি গ্রামে প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলায় প্রায় ১০ একর আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মৎস্যচাষিদের শতাধিক পুকুর ভেসে গেছে।

তবে বারহাট্টায় এখনও ত্রাণ বিতরণের অবস্থা হয়নি বলে জানান গোলাম মোর্শেদ।