শেরপুরে বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

শেরপুরে করোনাভাইরাসে প্রথম এক বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বেঞ্চ সহকারী শফিকুল ইসলাম জানান,  আগের রাতে ওই বিচাকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।

আক্রান্ত কামাল হোসেন (৪৬) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক।

জেলা জজশিপের ভারপ্রাপ্ত নাজির আমিনুল ইসলাম বাদল জানান, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথমভাগে জেলা জজশিপের মধ্যে কেবল জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজতিদের জামিনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে শুনানি চলছিল। অন্যদের মতো যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ কামাল হোসেনও বিচার কাজে অংশ নিচ্ছিলেন।

তিনি জানান, ২৬ জুন কামাল হোসেনের গলা ব্যথা শুরু হলে পরদিন ময়মনসিংহে গিয়ে এস কে হাসপাতালে নমুনা দেন। ২৮ জুন রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় তার নমুনা পজেটিভ আসে।

“এরপর থেকেই তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। ওই অবস্থায় তার বাসায় অবস্থান করা কলেজ শিক্ষিকা স্ত্রী, দুই সন্তান, গৃহকর্মী ও তার দুই আত্মীয়ের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে।”

আক্রান্ত বিচারক কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, তার সামান্য গলাব্যথা ছাড়া শরীরে এখন আর কোনো বাহ্যিক উপসর্গ নেই।

তিনি আরও জানান, তার বাবা ফজলুল হক (৮০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জুন থেকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের মোজাটি মহল্লার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনও সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার এক বড়ভাইও (৫০) করোনাভাইরাসে  আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, “সরাসরি ময়মনসিংহে তার নমুনা পরীক্ষা হওয়ায় বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তারপরও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। তিনি বা তার পরিবারের তরফ থেকে ইচ্ছা পোষণ করলে দেয়া হবে চিকিৎসা সেবা।”