রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বেচ্ছা অবসরে পাঠিয়ে পিপিপির মাধ্যমে (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) পরিচালনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন খুলনার নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা।
Published : 29 Jun 2020, 01:43 PM
পাটকল রক্ষা সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা খুলনা ও যশোর অঞ্চলের পাটকলের গেইটে সন্তানদের নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারিরা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান বলেন, একইভাবে মঙ্গলবার ও বুধবার বেলা ২টা থেকে মিলগেটে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এরপরও সরকার সিদ্ধান্ত না বদলালে বুধবার থেকে তারা মিলগেটে আমরণ অনশন শুরু করবেন।
রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় পঁচিশ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ বিষয়ে খুলনার সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বেতন কাঠামো রক্ষা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই শ্রমিকদের বেতনের টাকা এক কালীন পরিশোধ করা হবে।”
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে থাকা ২৬টি পাটকলের মধ্যে মনোয়ার জুট মিল বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানায় ২৪ হাজার ৮৬৬ জন স্থায়ী শ্রমিকেতর বাইরে তালিকাভুক্ত ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক আছে প্রায় ২৬ হাজার।
বেসরকারি খাতের পাটকলগুলো লাভ দেখাতে পারলেও বিজেএমসির আওতাধীন মিলগুলো বছরের পর বছর লোকসান করে যাচ্ছে, যার পেছনে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।