এক মাস ধরে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগে রোববার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ওই মেয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে। এতে তার বাবাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বিয়ে করা যেমন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। তেমনি কিশোরীকে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরে আটক রাখাও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ।
“তাই পুলিশ দুইটি ঘটনাই আমলে নিয়েছে। উভয় অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে।”
গুরুদাসপুর থানার উপ পরিদর্শক সাদাত হোসেন জানান, চার মাস আগে পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে নওপাড়া গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। এরপর মেয়েটিকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। একই সাথে মেয়েটির স্বামী ও শ্বশুরকেও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শর্তসাপেক্ষে মেয়েটিকে তার বাবার হেফাজতে দেয়। তবে মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে পায়ে শিকল দিয়ে ঘরে আটক করে রাখেন তার বাবা।
এ খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার রাতে মেয়েটিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তার বাবাকে আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে মেয়েটি তার বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা করে বলে জানান তিনি।
উপপরিদর্শক সাদাত জানান, রোববার দুপুরে মেয়েটিকে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে সে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা পারভিনের কাছে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তার বাবাকে কারগারে এবং মেয়েটিকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।