নোয়াখালীতে গুলিতে আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু

নোয়াখালী সদর উপজেলায় হামলাকারীর গুলিতে আহত এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাসপাতালে মারা গেছেন।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2020, 12:45 PM
Updated : 28 June 2020, 12:45 PM

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

মো. হোরন (৪৯) আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইছরা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরও সদস্য ছিলেন।

শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, হোরন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় একটি বাজার থেকে পশ্চিম মাইছরা গ্রামের হাজী ওহাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ৫/৬ জন অজ্ঞাত হামলাকারী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে সড়কে ফেলে রেখে যায়।

“সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত দেড়টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে শনিবার সন্ধ্যায় হোরনের শরীরে অস্ত্রপ্রচার হয়।”

সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন, হোরন মেম্বারের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ওইদিন রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

“মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম উল্লেখ করা না গেলেও তারদের ধরার চেষ্টা চালছে।”

মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

হোরনের বড় ভাই মো. ইউসুফ মামলায় অযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও দলীয় পদ পদবী নিয়ে গত দুই তিন বছর থেকে হোরনের সঙ্গে স্থানীয় পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত গোরফান চৌকিদারের ছেলে মো. ইউসুফের বিরোধ চলছে।

“এর জেরে ইউসুফে নেতৃত্বে আনিুল হকের ছেলে রমিজ উদ্দিন, হারুন মোল্লার ছেলে সাজু ও আজাদ হোসেন সুজনসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”