কুড়িগ্রামে ২ তরুণকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, বিজিবির অস্বীকার

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে দুই তরুণকে ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2020, 11:12 AM
Updated : 28 June 2020, 12:03 PM

তবে বিজিবি বলছে, যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তিনি ওই দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি অসুস্থ। কঠোরভাবে মাদক দমন করায় বিজিবির ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের ‘রাগ রয়েছে’।

রৌমারী উপজেলার বালিয়ামারী খেয়াঘাট এলাকার সৈয়দ জামান নামে এক ব্যক্তি রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, দেড় মাস আগে বালিয়ামারী খেয়াঘাটে তার ছেলে মশফিকুর রহমান মামুন ও ভাতিজা হেমায়েত উল্লাহ হিমুর সঙ্গে বিজিবি সদস্য জসিমের বাগবিতণ্ডা হয়।

তবে কী নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় তা তিনি বলতে পারেননি।

সৈয়দ জামান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাগবিতণ্ডার জেরে গত ২২ জুন মামুন ও হিমুকে রৌমারীর সায়দাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭টি ইয়াবা দিয়ে দুইজনের নামে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।

তিনি তার ছেলে ও ভাতিজার মুক্তি দাবি করেছেন।

অপরদিকে বিজিবি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, “আসামিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমন ঘটনার অবতারণা করছে। আমি নির্দোষ। আদালতের বিচার আমি মেনে নেব। দেড় মাস আগে ওই দুইজনকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেন। মন্ত্রী-এমপির লোক বলে আমাদের শাসান। পরে লোকজন জড়ো হলে মামুনের বাবা ‘ছেলে বেয়াদব’ বলে ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন করলে আমরা সেখান থেকে চলে যাই।”

এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আজাদ বলেন, “মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নিরপরাধ ব্যক্তির যাতে ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। আমরা গত ১০ মাসে ৮০-৯০ জন আসামি ধরেছি। তাদের অধিকাংশই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

“আসামিদের ৯০ শতাংশ আলগার চরের লোক। তারা প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে আলগার চরে অবৈধ গরু আটক করতে গেলে টহলরত বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায় গ্রামবাসী। তারা বেশ কয়েকবার বিজিবির ওপর হামলা চালিয়েছে যাতে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। আমরা কঠোর হস্তে মাদক দমন করতে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের রাগ বা আক্রোশ রয়েছে।”

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জসিম ওই দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি অসুস্থ। তার পরও অপরাধীদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি। অবশ্যই নির্দোষ ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা আমরা যাচাই করে তারপর পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করি।”