শনিবার নওগাঁর পোরশা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “করোনাকালে যদি অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় তাহলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।”
প্রয়োজন হলে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সকালে পোরশা উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গাছের চারা এবং সবজির বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। সেই আলোকেই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা ও সবজির বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছের চারা, সবজির বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকেরা গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, “একটি গাছ নিধন করা আর একজন মানুষ হত্যা করা প্রায় সমান; যেহেতু গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি।”
কোনো গাছ যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত সকলকে নির্দেশ দেন।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেবেন। এখন ভরা মৌসুম; এই সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কোনা কারণ নেই।
“চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। ইতোমধ্যেই সরকার চাল আমদানি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।”
চালকল মালিকদের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার এবং সরকারি গুদামে চাল দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোরশা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।