জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ভাঙন রক্ষায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মার তীরে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ এবং ১০ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ শুরু হয়।
একই সঙ্গে সদরপুর উপজেলায় ২৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদে ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ ও ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার ড্রেজিং শুরু হয়।
“প্রায় ৫০ বছর ধরে নদী দুইটির আগ্রাসনে যে ক্ষতি হত এখন তা থেকে রক্ষা পাচ্ছে এলাকার মানুষ।”
এই প্রকল্পে হাসি ফুটেছে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর তীরবর্তী মানুষের মনে।
আড়িয়াল খাঁ তীরের চন্দ্রপাড়া এলাকার বিপুল মাতুব্বর বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙন দেখেছি। এখন নতুন করে বসত গড়ার স্বপ্ন দেখছি আবার।”
সদরপুর উপজেলার দরগা বাজারের বাসিন্দা তারাপদ ঘোষ জানান, তার বাড়ি আড়িয়াল খাঁ নদে তিনবার ভেঙেছে।
“প্রতিবছর বর্ষা এলেই চিন্তায় থাকতে হত। এবারই দরগা বাজার এলাকাবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।”
চরভদ্রাসন উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজার এলাকার আবুল কালামও একই কথা বলেন, “ এই বাজার এ পর্যন্ত চারবার নদীর গর্ভে চলে গেছে। অবশেষে বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মাতীরে স্থায়ী বাঁধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছেন।”