পাবনায় পদ্মায় ডুবলেন হত্যা মামলার বাদী, স্বজনের দাবি হত্যা

পাবনায় পদ্মা নদীতে ডুবে মারা গেছেন একটি হত্যা মামলার আসামি এক ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থী, যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনের দাবি।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 04:06 PM
Updated : 24 June 2020, 04:06 PM

ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর এলাকায় বুধবার দুপুরে তিনি নিখোঁজ হন। সন্ধ্যায় তার লাশ পাওয়া যায়।

মৃত শাকিল হোসেন (২২) পাকশীর নতুন রূপপুর গ্রামের মৃত শাজাহানের ছেলে।

স্বজনরা জানান, তিনি পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা প্রকৌশলের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করতেন।  

শাকিল তার বাবা শাজাহান আলী হত্যা মামলার বাদী ছিলেন বলে শাকিলের চাচা আবু হানিফ জানান।

এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে।

শাকিলের চাচা আবু হানিফ জানান, দুপুরে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর ফটু মার্কেট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে গোসল করতে নেমে শাকিল নিখোঁজ হন। সন্ধ্যায় লাশ ভেসে ওঠে।

পরিবারের দাবি শাজাহান হত্যা মামলার আসামিদের লোকজন শাকিলকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় শাকিলসহ ৭/৮ জন নদীতে গোসল করছিলেন। হঠাৎ শাকিল ডুবে যান। তাদরে মধ্যে দুজন ছাড়া অন্যরা সবাই চলে যান। তবে গোসল করার সময় অন্যরা শাকিলকে ডুবিয়ে মেরেছে কিনা না তারা জানেন না।

শাকিলের চাচা আবু হানিফ বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে শাকিল বের হন। এরপর পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা।

হানিফের অভিযোগ, তার ভাই (শাকিলের বাবা) শাজাহানকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী হত্যা করেছে। সেই মামলার বাদী ছিলেন শাকিল। হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ কয়েকজন এখনও জেল হাজতে রয়েছেন।

“শাকিলকে ডেকে এনে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনাকারীদের কেউ কেউ সম্প্রতি জেল হাজত থেকে বের হয়ে এসেছে। তারাই শাজাহান হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার জন্য জেলখানায় বসেই পরিকল্পনা করেছে।”

তারই ধারাবাহিকতায় গোসল নামে শাকিলকে ডেকে এনে পদ্মানদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে বলে হানিফের দাবি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যূৎ প্রকল্প পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত শাকিলের সঙ্গে গোসল করতে যাওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে শাকিলকে সুকৌশলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।