টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান জানান, করোনাভাইরাস মহামারীতে ভার্চুয়াল আদালতে ১২ মে থেকে বুধবার পর্যন্ত তাদের কেন্দ্রের ২৯৫ জন কিশোরী জামিন পেয়েছে। সর্বশেষ বুধবার জামিন পেয়েছে তিনজন।
একই সময়ে কোনাবাড়ি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৪৯ কিশোরী জামিন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের সমাজসেবা কর্মকর্তা তাসমিম ফেরদৌস। সর্বশেষ বুধবার এক কিশোরী জামিন পেয়েছে।
কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, ভার্চুয়াল আদালত হওয়ায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন আর কিশোর-কিশোরীদের কষ্ট করে আদালতে হাজির করতে হয় না। আগে তাদের আদালতে নেওয়ার জন্য পুলিশ দরকার হত। কিন্তু সময়মত পুলিশ পাওয়া কঠিন ছিল। আবার রাস্তায় বিলম্ব হত। আগে ডাকে আদালতের হাজিরা পরোয়ানা আসত। অনেক সময় পরোয়ানা সময়মত আসত না। এখন আর সেসব সমস্যা নেই। আদালতে যাওয়ার ঝামেলা নেই। জামিন আদেশসহ সব তথ্য তারা ই-মেইলে দ্রুত পেয়ে যান।
জামিন পাওয়া কিশোর-কিশোরীদে স্বজনরা না আসলে কেন্দ্রের লোকজনই তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।