করোনাভাইরাস: ফেনীতে উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু

ফেনীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 03:38 AM
Updated : 24 June 2020, 05:20 AM

মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন ও নিজ বাড়িতে একজন মারা গেছেন।

মৃতদের মধ্যে একজনের বসয় আশির উর্দ্ধে ও বাকিদের ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা বিরেন্দ্র বরুণ (৬৫) জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশ ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

“মঙ্গলবার দুপুর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং বিকালে তিনি মারা যান।”

একই দিন রাতে ফেনী পৌরসভার একাডেমি এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৮৪) জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ইকবাল।

তিনি বলেন, কিট সংকটের কারণে গত চারদিন ধরে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এজন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ না করে স্বজনদের কাছে মরহেদ হস্তান্তর করা হয়েছে।

একই সঙ্গে দুই রোগীর স্বজনদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফন ও সৎকারের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে ফেনী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম (৪৫) মারা যায়।

তিনি সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড়ধলী এলাকার বাসিন্দা।

সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, “গত ১৪-১৫ দিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন নজরুল । প্রথমে বাড়িতে থেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।

“পরে মরদেহ প্রশাসনের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নজরুল ইসলামের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এছাড়া ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহছান উল্যাহ (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয় উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান।

তিনি দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কামার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

চেয়ারম্যান বলেন, জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন আহছান উল্যাহ। মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থনে মরদেহ দাফন করা হয়।