উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেড জোন এলাকা থেকে লোকজনকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে; কাউকে কাউকে জরিমানাও করা হচ্ছে। তবুও মানুষের যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা বা তাদের ঘরে রাখা যাচ্ছে না।
রোববার রাতে বেনাপোল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাপোল,পাঠবাড়ী ও পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রামকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে অবরুদ্ধ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শার্শা উপজেলার শার্শা সদর ইউনিয়নের কাজিরবেড়, নাভারন রেলবাজার, উত্তর ও দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রাম এবং বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নামাজগ্রাম ও দূর্গাপুর গ্রামকে রেড জোন হিসেবে লকডাউন করা হয়।
এছাড়া শার্শার বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও বাগআচড়া ইউনিয়নকে ইয়োলো জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকা আগে গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে- নাভারন বাজারে দোকানপাট ও হাটবাজার খোলা রয়েছে।
বেনাপোল বাজারের পাশ থেকে রেড জোন শুরু হওয়ায় বাজারটি ২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।
এছাড়া বন্দর,ব্যাংক, সিএন্ডএফ অফিস, ট্রান্সপোর্ট ও দূরপাল্লার পরিবহন গুলোর অফিস থাকায় বাজারে সব সময় লোকজন জমজম করছে। এছাড়া রেড জোনের বাসিন্দাদের অনেককেই রেড জোনের বাইরে এসে বাজারে অনর্থক ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
বেনাপোলের কামরুল হাসান (২২) বলেন, “এক নাগাড়ে বাড়ি বসে থাকতি ভাল লাগছে না তাই বাজারে এলাম। চা পান খেয়েই চলে যাবো।“
রেড জোনের কথা বলতেই সাথে থাকা আবু নাইম (২০)বলেন, “ও যার হবে তার হবেই।সবাই তো বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এই বয়সে বাড়ি বসে থাকতি ভাল লাগে।”
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, "করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো 'রেড জোন’ ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তারপরও মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছে। তাদের আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।”
তাছাড়া কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।