রোববার ফরিদপুর বিচারিক হাকিম ফারুক হোসাইন এই আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ চাল ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়।
শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই বেলাল হোসেন জানান।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গত ৭ জুন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে রুবেল ও বরকতের দেহ ও বাড়ি তল্লাশি করে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবা, ডলার, ভারতীয় রুপি ও নগদ ২৯ লাখ টাকা এবং ১২শ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল জব্দ করে পুলিশ।
এসব ঘটনায় পুলিশ আরও তিনটি মামলা দায়ের করে।
এসআই বেলাল হোসেন জানান, গত ১৮ জুন মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাদের। সেই রিমান্ড শেষে রোববার আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ১ম দফায় অস্ত্র মামলায় বরকত, রুবেলসহ চারজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ, ২য় দফায় সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ তিনজনকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ৩য় দফায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়, যা শনিবার শেষ হয়।
গ্রেপ্তারের পর শহর আওয়ামী লীগ জরুরি সভায় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বরকতকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের শুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে চিঠি পাঠায়। জেলা বাস মালিক গ্রুপও বরকতকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
অপরদিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব জরুরি সাধারণ সভায় ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি এবং প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করে।