রোববার সকালে ও রাতে মারা যাওয়া এ দুইজনই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
রাত ৮টায় ৫৬ বয়সী রাজশাহী মহানগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মারা যান। আর সকাল ৯টায় মৃত্যু হয় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দার (৭২)।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে ৭২ বছরের বৃদ্ধকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর অপরজনকে রোববার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
“তাদের দুজনেরই করোনার উপসর্গ ছিল। তাই তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।”
সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত্যুর পর তাদের দুজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার তাদের পরীক্ষা করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকসহ আরও ৪৪ জন শনাক্ত
রাজশাহীতে দুইজন চিকিৎসকসহ আরও ৪৪ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীর ২৯ জন, পাবনার ১ জন ও নাটোরের ১৪ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্হিবিভাগের ল্যাবে রোববার তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
রোববার রাতে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনাহার এ তথ্য জানান।
রাজশাহী জেলার ২৯ জনের মধ্যে নগরের ২৭ জন, পবার একজন ও গোদাগাড়ীতে একজন। নতুন ২৯ জন নিয়ে জেলায় করোনাভাইরস আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৬৬ জনে। এর মধ্যে নগরের ১৪৬ জন। রাজশাহীতে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ল্যাবে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মধ্যে ২৩ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসকসহ সবায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাস করে।
অপরদিকে, রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, রোববার রামেক ল্যাবে দুই শিফটে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এর মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে ১৮৫ জনের নমুনার।
“যার মধ্যে ২১ জনের নমুনায় করোনা পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, পাবনার একজন ও নাটোরের ১৪ জন রয়েছে। রাজশাহীর আক্রান্তদের মধ্যে চারজন নগরীর ও একজন গোদাগাড়ী ও একজন পবার।”