রোববার সিরাজগঞ্জ শহরে ‘নিউজ হোম’ নামের সাংবাদিকদের একটি কার্যালয়ে ‘অপহৃত’ মেহেদী মোরশেদ পলাশের বড়ো বোন মীনা পারভীন এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
মেহেদী মোরশেদ পলাশ (৩৩) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুকছেদ আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার খিলগাও এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং তিনি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী্।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মীনা পারভীন বলেন, পারিবারিকভাবে ২০ মার্চ কক্সবাজারের মোহাজেরপাড়ার প্রয়াত শামসুল আলমের মেয়ে তানজিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন পলাশ। বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠান শেষে ৫ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা নববধূ তানজিয়া আক্তার, তার ভাগ্নে সাজিদ, ভাগ্নি তাহিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে তারা সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
“৬ জুন ভোর ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালে ঢাকাগামী লেনে পৌঁছার পর অজ্ঞাত পরিচয় চার ব্যক্তি সাদা পোশাকে নিজেদের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে আমাদের মাইক্রোবাস থামায়। তাদের সবার হাতে পিস্তল থাকলেও ওয়াকিটকি ছিল না। এ সময় তারা পলাশকে নামিয়ে নিয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা পাজেরো জিপে (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৭০৯৫) উঠিয়ে নিয়ে যায়।”
এরপর ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পলাশের কোনো খোঁজ মেলেনি বলে পারভীন জানান।
ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, সোনারগাঁও থানা, বন্দর থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, র্যাব-১০ ও ১১ এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি, বলেন পারভীন।
এ ঘটনায় গত ১৮ জুন সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মীনা পারভীন তার অপহৃত ভাইকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পলাশের নববিবাহিত স্ত্রী তানিজয়া আক্তার, ভাগ্নে মঞ্জুর হাসান রতন, স্ত্রীর ভাগ্নি তাহিয়া নাসেরসহ পরিবারের অন্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সোনরগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।