জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, আম্পানে এ বছর প্রায় ৭০ শতাংশ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দাম বেশি পেয়ে বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন।
এ জেলায় সাড়ে ১২ হাজার ছোট-বড় আমবাগান রয়েছে বলে তিনি জানান।
বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী কার্তিক চন্দ্র বলেন, গত বছর যেখানে ১২০০-১৪০০ টাকা মণ ছিল, এ বছর সেখানে দাম উঠেছে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার বিক্রি শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় আম শেষ হয়ে গেছে।
“আমরা মনে করেছিলাম মহামারীর কারণে এবার আম বিক্রি হবে না। আর আম্পানের ক্ষতিও পোষানো যাবে না। কিন্তু পরিস্থিতি উল্টো হল। এবার বাগানমালিকদের কাছ থেকে সবচেয়ে চড়া দামে আম কিনেছিলাম। তার পরও চড়া দামে আম বিক্রি করে লোকসান ঠেকানো গেছে।”
পাবনার আম ব্যবসায়ী মলিন খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে মেহেরপুরে আমবাগান কিনে সেই আম দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
“এবার আম্পানে আর ৩৫৭টি গাছের ৭০ ভাগ আম পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এমন ক্ষতি কোনোবার হয়নি। ভেবেছিলাম লাভ তো দূরের কথা, বাগানমালিকের লিজের টাকা পকেট থেকে দিতে হবে। অথচ ৩০ ভাগ আম বিক্রি করেই লাভ না হলেও লোকসান হয়নি।”