খুলনায় ডাক্তার রকিব হত্যায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

খুলনায় প্রসূতির মৃত্যুর পর চিকিৎসক আব্দুর রকিবকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আরেক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2020, 02:33 PM
Updated : 20 June 2020, 02:33 PM

সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল জানান, শনিবার দুপুরে খুলনা নগরীর খালিশপুর থেকে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে এই মামলায় মোট ছয় আসামি গ্রেপ্তার হলো।

এর আগে পাঁচ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং শুক্রবার এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।

এক প্রসূতির মৃত্যুর পর ১৫ জুন রাতে নগরীর গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকের গেটে ডা. আব্তুর রকিবকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওই প্রসূতির স্বজনদের বিরুদ্ধে। পরদিন তিনি মারা যান।

ওসি আসলাম জানান, বুধবার রাতে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি জমির শেখ, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা ও খাদিজাকে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“এর আগে মঙ্গলবার রাতে আবদুর রহিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”

শুক্রবার প্রধান আসামি জমির শেখ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।  

তিনি আরও বলেন, আসামি আবু আলী ও গোলাম মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

“এর আগে বৃহস্পতিবার আব্দুর রহিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। তিনি এখন খুলনা সদর থানায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকারে অপারেশনে তার সন্তান হয়। সন্তান ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে শিউলী নামের ওই প্রসূতিকে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ ঘটনায় ওই নারীর স্বজনরা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে গল্লামারী এলাকায় রাইসা ক্লিনিকের গেটে ডা. রকিবের উপর হামলা চালায় শিউলীর স্বজনরা।

পরে নগরীর শেখ আবু নাসের হাসপাতালে ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় বুধবার নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করেন।