এরা হলেন- উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কালিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বিমল রায় (৬০) এবং নরসুন্দর কার্ত্তিক সরকার (৪২)।
বিমল শনিবার ভোর ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে এবং কার্ত্তিক শুক্রবার বিকালে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বিমলের পরিবারের বরাতে জানান, বিমলের ছেলে পদ্যনাথ রায় সাতক্ষীরা যমুনা ব্যাংকে চাকরি করে। ১৫ দিন আগে পদ্যনাথ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাড়ি আসেন এবং সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান। এরপর থেকে বিমলের জ¦র, কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিমল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্টিত হতে পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কার্ত্তিক রায়ের প্রতিবেশী সঞ্জিত সরকার ও তাপস ভট্যাচার্য্য জানান, কার্ত্তিক খুলনার বড় বাজার এলাকায় একটি সেলুনে কাজ করতেন। গত ৫ দিন আগে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে এসে স্থানীয় চাঁচুড়ি বাজারে চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেয়। পরে স্বাসকষ্ট শুরু হলে বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খুলনার একটি শ্নশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল মোমেন বলেন, বিমল রায়ের করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহ ও তার বাড়ি লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
তিনি জানান,গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নড়াইলের তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ২সদস্যসহ ৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জন হাইওয়ে পুলিশ সদস্য ও ৮ জন চিকিৎসকসহ সর্বমোট ৮১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে নড়াইলের হাইওয়ে পুলিশের দুই দুই সদস্যকে তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে এবং অন্যদের নিজ বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।