শুক্রবার দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রয়াত (৩৫) উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের দারোগারহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. উৎপল দাশ জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় সম্প্রতি পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে গত ১০ জুন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওইদিন থেকে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
“শুক্রবার দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। সেখানে হাই ফ্লো অক্সিজেন সেবা চালু না হওয়ায় তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টারের হাই ফ্লো অক্সিজেন ইউনিটে পাঠানো হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।”
মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু জানান, প্রয়াত ব্যক্তি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি আরো জানান, তার ইউনিয়নের দৌলতকান্দি গ্রামে গত ১৪ জুন রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানান, ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭ জন সোনাগাজীর, ৩ জন দাগনভূঞার, ২ জন করে ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।