নবতিপর শাশুড়িকে ‘নির্যাতন’, পুত্রবধূ কারাগারে

বরিশালে বৃদ্ধা শাশুড়িকে নির্যাতনের অভিযোগে তার পুত্রবধূকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2020, 12:21 PM
Updated : 17 June 2020, 02:13 PM

বুধবার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্মপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের ওই পুত্রবধূকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেন।

ওসি জানান, ৯০ বছরের বেশি বয়সী জ্ঞানদা রানী সরকারকে নির্যাতনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তার পুত্রবধূকে পুলিশ আটক করে। এরপর এ বৃদ্ধাকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা করেন তার মেয়ের ঘরের নাতি চন্দন সরকার। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার শিখা রানী সরকার (৩৫) বারপাইকা গ্রামের জগদীশ সরকারের স্ত্রী।

জগদীশ পলাতক রয়েছেন; তবে এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে তার নাম নেই বলে জানিয়েছেন ওসি।

মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানীর চার মেয়ে ও এক ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর এক মাত্র ছেলে জগদীশ সরকারের সঙ্গে বাস করতেন তিনি। তবে বিভিন্ন সময় তার উপর নির্যাতন চালাতেন তার পুত্রবধূ শিখা রানী সরকার।

“এমনকি জ্ঞানদা রানীর সরকারি বয়স্ক ভাতার টাকাও আত্মসাৎ করেছেন শিখা রানী।”

ওসি বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে জ্ঞানদা রানী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে করোনাভাইরাস সন্দেহে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন শিখা। তখন তাদের বাড়ির সামনে এক মন্দিরের বারান্দায় ওই বৃদ্ধা আশ্রয় নেন। জ্বর-সর্দি থেকে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেও ছেলের ঘরে আর জায়গা হয়নি। বৃদ্ধাকে কখনও এক বেলা-দুবেলা; কখনও না খাইয়ে রাখা হতো।

“গত মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষুধা সইতে না পেরে ছেলে ও ছেলের বউয়ের কাছে খাবার চাইতে যান জ্ঞানদা রানী। তারা খাবার না দেওয়ায় তাদের কাছে গচ্ছিত বয়স্ক ভাতার টাকা ফেরত চান এ বৃদ্ধা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শিখা রানী তাকে মারধর করেন।“

ওসি আরও জানান, জ্ঞানদাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতেই তাকে তার মেয়ের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। বাড়িতে বসেই পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এই বৃদ্ধার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন বলে ওসি আফজাল হোসেন জানান।