উপজেলার রায়েন্দা বাজারে পাইলট হাইস্কুলের পেছন থেকে খাদ্যগুদাম এলাকায় এই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কিন্তু শিগগিরই এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের উপায় দেখছে না প্রশাসন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, বলেশ্বর নদে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ চলার কারণে পানি নিষ্কাশন নালার মুখ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এখানে আড়াই থেকে তিনশ পরিবার এই সমস্যায় পড়েছে। বাঁধ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের আশু কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সিএইচডব্লিউ নামে চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। তারা বর্ষা মৌসুমে কাজ করে না। অধিকাংশ কর্মী ছুটিতে চলে গেছে। যারা আছে তারা আবার করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে পানি জমে থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না এলাকার লোকজন। রান্নাঘরে পানি উঠে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আউয়াল খান বলেন, “নালার মুখ বন্ধ করে আমাদের পানিবন্দি করে রেখেছে। রান্নাবান্নায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগের মধ্যে খেয়ে-না-খেয়ে থাকতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে টয়লেট-টিউবওয়েল-রান্নাঘর পানির নিচে একাকার হয়ে যাচ্ছে। এতে নানা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।”
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, “একটি পয়েন্ট থেকে পাইপ দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।”