মঙ্গলবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংস্ইুপ্রু মারমা এ কথা জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করা জেলার ৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, রুমায় ১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি ১ জন রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং খাদ্যবিভাগের কর্মকর্তা রয়েছেন।’
এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়ালো ৯৩ জনে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৯ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী রয়েছে সদর উপজেলায় ৪১ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লামা উপজেলা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ জন।
তবে জনসংখ্যার অনুপাতে সংক্রমিত সংখ্যা বিবেচনায় প্রশাসন বান্দরবান সদর উপজেলা পৌর এলাকা এবং রুমা উপজেলাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে। সপ্তম দিনের মত চলছে অনির্দিষ্টকালের লকডাউন।
নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য কেনাকাটার জন্য রোববার এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। তবে বন্ধ রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহণ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী কোনো নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।