গত বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ডাক্তার কুশল কুমার ব্যান্ধ্যার জানান।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি ছবি তোলার বিষয়টি ‘জানেন না’ বলে দাবি করেছেন।
কুশল কুমার বলেন, শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের পাশে তার চেম্বারে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
“এ কারণে ১১ জুন তার চেম্বার এবং পৌর এলাকার মাস্টারপাড়া গ্রামে ওই আক্রান্ত অ্যাসিস্ট্যান্টের বাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়।”
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনায় কুশল কুমার বলেন, ইউএনও সাকিব আল রাব্বি ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস সেদিন উপস্থিত থেকে তার চেম্বার ‘লকডাউন’ করেন।
“তারা লকডাউন লেখা একটি কাগজ নিয়ে আসেন। সেটি আমার চেম্বারে লাগানোর জন্য দেন। এ সময় তারা কাগজটি ধরতে বলে ছবিও তোলেন।”
তবে বিষয়টি পরে ‘মীমাংসা’ হয়ে গেছে, ইউএনও ফোন করে ‘দুঃখ প্রকাশ করেছেন’ এবং লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানান কুশল কুমার।
তিনি বলেন, “সেই ১১ জুন থেকে আমি হোম কোয়ারেন্টিনে আছি।”
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ইউএনও সাকিব আল রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই চিকিৎসক নিজে ফোন করে তার চেম্বার লকডাউন করতে বলেন। এ কারণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তার গাড়ির ড্রাইভার লকডাউনের কাগজটি লাগাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি নিজে লাগিয়ে দেবেন বলে কাগজটি নিয়ে নেন। তবে ছবি তোলার বিষয়টি আমি জানি না।”