মঙ্গলবার সকালে বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুরে মামুন ব্রিকস থেকে লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। আগের রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত রাজিয়া খাতুন (২৪) যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী শহীদ বিশ্বাস সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে। এ দম্পতি ওই ইটভাটার এক ঘরে থাকতেন।
বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান, নিহতের স্বামী শহীদ যশোরের চুন্নু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর দেশে ফিরে ওই ইটভাটায় কাজ করছিলেন। সন্দেভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
আটকের আগে শহীদ সাংবাদিকদের জানান, রাজিয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। ছয় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত রমজান মাস থেকে রাজিয়া তার সাথে ভাটায় থাকতেন। সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের স্বামী শহীদ পুলিশকে জানিয়েছেন, গভীর রাতে ৫/৭ জন লোক এসে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার সাথে সাথে ৪/৫ জন ভেতরে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। এ সময় তার স্ত্রী তাকে পালিয়ে যেতে বললে তিনি দৌড়ে পাশের গ্রামে পালিয়ে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভাটার নৈশ প্রহরী আবু তাহেরকে সাথে নিয়ে এসে দেখতে পান ঘরের সামনে তার স্ত্রীর বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে আছে।
ইট ভাটার নৈশপ্রহরী আবু তাহের বিশ্বাস জানান, সোমবার রাত ৪টার দিকে শহীদের সাথে গিয়ে দেখি তার স্ত্রীর বিবস্ত্র লাশ ঘরের সামনে পড়ে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভাটার মালিক মামুন লস্করকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তিনি পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে খাজুরা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুম্মান খান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাটার পশ্চিমে ঘরের সামনে মাটিতে ওই গৃহবধূর মরদেহ পাওয়া যায়। সেখানে নিহতের স্বামী শহীদ আহত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিকভাবে শহীদকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
“নিহতের সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটা ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”