মঙ্গলবার বিকালে দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া গ্রামের মো. রাজন এবং একই ইউনিয়নের মধুরখোলা গ্রামের মো. শাকিল।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের বড় ভাই সুমন শেখ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৩৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
“ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ পরিস্থিতিতে ইতালি ফেরত প্রতিবেশী রাসেল শেখ মারামারি থামাতে এগিয়ে যান বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।
এ সময় তার মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাসেল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান স্থানীয়রা।
দোহার থানার সাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সংঘর্ষে রাসেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী চড়াও হয়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের মোটরসাইকেল ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এলাকাবাসী।
দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলাম ও দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁইয়া।