মঙ্গলবার দুপুরে শার্শার কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
শার্শা উপজেলায় 'রেড জোন' ঘোষিত এলাকা হলো বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নামাজগ্রাম ও দূর্গাপুর গ্রাম এবং শার্শা সদর ইউনিয়নের কাজিরবেড়, নাভারন রেলবাজার, উত্তর ও দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘর থেকে বের হলেই পুলিশের জেরায় পড়তে হচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফের বাড়ি পাঠাচ্ছে পুলিশ।
এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলাসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের চলাফেরার ফাঁক দিয়ে মানুষ লাল জোন এলাকায় ঢুকে পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম, শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মহসিন খান, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও শার্শা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহারব হোসেন ‘রেড জোনে’ মানুষের চলাফেরায় নজর রাখছেন; প্রয়োজনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে যাচ্ছেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রামণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টি এলাকা রেড জোন ঘোষণাপূর্বক একটি আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছে। অকারণে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোকে বুঝিয়ে আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।