প্রতিবছরই ১৫ হাজারের মতো শিশু পানি ডুবে প্রাণ হারায়; যাদের বেশিরভাই বাড়ির পাশে পানিতে ডোবে বলে এক জরিপে বলা হয়েছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
দিনাজপুরে পুকুরে ডুবল তিন শিশু
দিনাজপুরের হাকিমপুর ও বিরল উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পুকুরে ডুবে তিনটি শিশু মারা গেছে।
রোববার সকাল ১০টায় হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে মারা যায় হাবিবুর রহমান মেয়ে হুমাইরা (৬)।
হাবিবুর রহমান জানান, বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলার সময় পানিতে পড়ে যায় হুমাইরা ও হিমু (৪)। এ সময় পাশের বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক হুমাইরাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নাজমুস সাঈদ বলেন, “হিমুর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।”
এদিকে, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ভান্ডরা ইউনয়নের সুইহারা গ্রামে পুকুরে ডুবে মারা যায় দুই শিশু সুলতানা (৭) ও মমিতা (৮)।
সুলতানা উপজেলার রানীপুকুর গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে এবং মমিতা কাজিপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
ভান্ডারা ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, দুপুরে এই দুই শিশু পুকুরে ডুবে যায়। দুপুর দেড়টায় তাদের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে গ্রামবাসী।
রংপুরে ডোবায় মিলল দুই খালাত বোনের লাশ
রংপুরে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সম্পর্কে যারা খালাত বোন।
রোববার বিকালে পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতের চর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এরা হলো রহমতের চর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন (৯) ও পাশের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে কাইফা খাতুন (৮)।
তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ডোবায় পড়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, কাইফা খাতুন বৃহস্পতিবার তার মায়ের সঙ্গে রহমতের চর গ্রামের খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুরে খাওয়ার পর সুবর্ণা তার খালাত বোন কাইফাকে নিয়ে বাড়ির পাশে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকাল ৪টার দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় তাদের লাশ ভাসতে দেখেন সুবর্ণার মা। পরে লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
নেত্রকোণায় ডোবা-খালে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ডোবা ও খালে ডুবে তিন ও ছয় বছর বয়সী দুই শিশু মারা গেছে।
রোববার সুমাইয়া (৩) ও শনিবার শোভা আক্তার (৬) মারা যায় বলে কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়া আটপাড়া উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে। সে কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পুরাবাড়ী গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। রোববার সকালে বাড়ির পাশে ডোবায় পড়ে প্রাণ হারায় সে।
মৃত আরেক শিশু শোভা আক্তার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফ্ফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে।
এলাকার লোকজন জানান, শোভা আক্তার শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের ফুলেশ্বরী খালে ডুবে মারা যায়।
ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, দুজনেরই স্বজনরা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।