কেজিতে ২ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় এক গুদাম কর্মকর্তা প্রতি কেজি চালের জন্য সরবরাহকারীর কাছে দুই টাকা করে ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2020, 04:12 PM
Updated : 15 June 2020, 03:59 PM

ঘাটাইলের ইউএনও অঞ্জন সরকার জানান, রোববার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে এক মিল মালিক লিখিত অভিযোগ করেন।

মেসার্স দুই ভাই অটো রাইস মিলের মালিক সাদিকুল ইসলাম তার অভিযোগে বলেন, গত ১১ই জুন ট্রাকে করে ২০ মেট্রিক টন চাল গুদামে সরবরাহ করেন। গুদাম কর্মকর্তা খোরশেদ আলম তার কাছে ‘কেজি প্রতি দুই টাকা কমিশন দাবি করেছেন’। 

‘ঘুষ দিতে’ রাজি না হওয়ায় তার ট্রাক বোঝাই চাল ওই গুদাম কর্মকর্তা আটকে রাখেন এবং এতে তার প্রতিদিন ছয় হাজার টাকা অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন সাদিকুল।

এর আগেও ওই কর্মককর্তা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে একইভাবে ‘ঘুষ দাবি’ করেছিলেন বলে সাদিকুলের ভাষ্য।

বারো বছর ধরে উপজেলার খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করে আসছেন জানিয়ে সাদিকুল ইসলাম বলেন, “এই কর্মকর্তা উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে অন্য উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান কেনেন। এ কাজে এক ব্যক্তি তাকে সহযোগিতা করেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার বলেন, “ইতিমধ্যে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে। তদন্তে এ অভিযোগের প্রমাণ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে হবে।“

ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা খোরশেদ আলম তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমি অফিস কোয়ার্টারে আইসোলেশনে চলে যাই। অদ্যাবধি আইসোলেশনেই আছি। তাই কারো কাছ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন।

খোরশেদের দাবি, সাদিকুল ইসলাম নামে কোনো মিলার নেই। মেসার্স দুই ভাই অটো রাইস মিলের মালিকের নাম বেলায়েত হোসেন।

“অভিযোগকারী একটা হীন উদ্দেশ্য নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কিছু চাতাল মিল মালিক তাদের উৎপাদিত চাল শুটার না করে গুদামে ঢুকানোর হীন উদ্দেশ্যে এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

ট্রাক বোঝাই চাল গুদামে আটকে রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।”

উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে অন্য উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান কেনার অভিযোগও অস্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা খোরশেদ।

খোরশেদের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগকারী একজন মিলার। তার চলের মিল রয়েছে।”

আর অভিযোগকারী সাদিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলায়েত হোসেন এই মিলের জায়গার মালিক। তার কাছ থেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তি করে ১১ বছর ধরে আমি মিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।”