খারাপ আবহাওয়ায় শনিবার নৌযানে শত শত যাত্রীকে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
নৌযানকে জরিমানা করে কিংবা যাত্রীদের বুঝিয়েও তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না বলে পুলিশের ভাষ্য।
শিমুলিয়ায় বিআইডব্লিউটিসি সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও ফেরিগুলো যান পারাপার করে যাচ্ছে। শনিবার বিকালের দিকে রাজধানীগামী যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, “লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এত যাত্রী, সব সময় মানানো যাচ্ছে না।”
একজন লঞ্চ মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিরাপদ দূরত্ব রাখতে যাত্রী কম বহন করবে বলে বাসগুলোতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু লঞ্চে আগের ভাড়াই আছে। সেকারণেই আগের মতো যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, লঞ্চগুলোকে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ ধারণ ক্ষমতায় যাত্রী বহনে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।
“কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। আবার উঠা-নামার সময়ও গাদাগাদি অবস্থা। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, তবে শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠাতে পারছে না। অনেক সময় খালিও যাচ্ছে। ওপার থেকে ভিড় করে আসছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ এখন বেশি।